Posts

Showing posts from 2014

কথার কথা

অল্প কথা বেশি কথা টাটকা কথা বাসি কথা কত কথা যত কথা সবই কথা, কথার কথা। কথা কিছু বলার কথা কিছু না বলার কথা অমুক কথা তমুক কথা সবই কথা, কথার কথা। কাচা কথা পাকা কথা আবোল কথা তাবোল কথা এলো কথা মেলো কথা সবই কথা, সবই কথা।

পর্যায়কাল

প্রতিটা মানুষের জীবনেই ৩ টা পর্যায় থাকে, "Introduction" অর্থাৎ সুচনা, "Appreciation"  মূল্যায়ন এবং   সমাদর , "Depression" হতাশা।  স্বাভাবিক ভাবেই "Introduction" অর্থাৎ সুচনা আসে শুরুতে। তারপর ভাগ্য ভাল থাকলে "Appreciation", নয়তো "Depression"। খুব কম মানুষের জীবনের বড় সময়টা জুড়ে বিচরণ করে "Appreciation"। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ই থাকে, যখন মানুষ সব কিছুতেই আগ্রহ খুঁজে পায়, আর সুচনা করে একেক টা নতুন অধ্যায় এর। তখন সবাই এ সুচনা কে "Appreciate" অর্থাৎ মুল্যায়ন করে। তখন সব ক্ষেত্রেই বিরাজ করে সাফল্য। তারপর সময় এর সাথে সাথে একসময় সব "Appreciation" শেষ হয়ে যায়। তখন থেকে যায় শুধুই " হতাশা "...

ভুতের গল্পঃ ২য় পর্ব

আমার ভুত দেখা ---------------------------------------------------------------------- ---------------------------------------------------------------------------- ভুতের গল্প ১ম পর্বটা আসলে একটা গল্পই ছিল, কিন্তু আমার ভুত দেখা টা সত্যি ঘটনা। আসলেই সত্যি। যদিও ঘটনাটা ঘটার অনেকদিন পরে আমি কয়েকজন কে বলেছিলাম। আমি জানতাম যে, কেওই বিশ্বাস করবে না। সত্যিই কেও বিশ্বাস করে নাই। কিন্তু আমি জানি, আমার অস্তিত্বের মতই এটা সত্যি। অনেক আগের কথা, ১৯৯৮ অথবা ৯৯ সনে। আমি তখন ক্লাশ থ্রী অথবা ফোরে পড়ি। আমার খালু ছিলেন ফুড ইন্সপেক্টর। উনার পোস্টিং ছিল তখন ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায়। ভাঙ্গায় কুমার নদের পাড়ের গোডাউন টার ইনচার্জ ছিলেন আমার খালু। আমরা আর আমার খালারা অনেক আগে থেকেই ঢাকায় থাকি। শুধু খালু একাই চাকরীর জন্য ঢাকার বাইরে থাকত। একবার গ্রীষ্মের ছুটিতে(নাকি বর্ষায়, ঠিক মনে নেই) আমি, আমার আম্মা, খালার, খালাতো বোনেরা, আমরা সবাই মিলে বেড়াতে গেলাম খালুর ওখানে, ২ রাত ৩ দিনের জন্য। গোডাউনের যায়গাটা বেশ বড়। ভেতরে অনেক বড় বড় কইয়েকটা গুদাম ঘর, অফিসারদের জন্যে বিশাল বড় বড় দুটি রুম। সব কিছুই পাকা করা।...

ভুতের গল্পঃ ১ম পর্ব

'ঔষুধ হল ভুতমাইসিন' ______________________________ _____________________________ আপনারা যারা ভুতে বিশ্বাস করেন না, কিংবা ভুতদের নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করেন, অথবা ভুত সেজে অন্যদের ভয় দেখান, তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই আমার এই লিখা। ভুত এক বিরল প্রজাতির প্রানী(!)। এদের দেহ নেই কিন্তু প্রান আছে। এই প্রাণকে আমরা আত্মা বা soul বলে থাকি। আপনারা যতই এদের  অস্তিত্ব নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করেন না কেন এরা কিন্তু কাওকে সহজে দেখা দেয় না। কিন্তু একবার... আমার পরিচিত একজনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এক ভুত দেখা দিয়েছিল। সেই কাহিনীই বলছি... আমার কাহিনীটির প্রধান চরিত্র কুদ্দুস ভাই(কাল্পনিক নাম; ভাই এর অনুরোধে আসল নাম গোপন করা হয়েছে)। এই কুদ্দুস ভাই কয়েকদিন পরপরই গার্লফ্রেন্ড চেঞ্জ করত। যদিও সেসব গার্লফ্রেন্ডরা কুদ্দুস ভাইকে নিজের ইচ্ছায়ই ছেড়ে যাইত(অন্তত তারা তা-ই মনে করত)। তাই তাদের মনে কুদ্দুস ভাই এর জন্যে কোন রাগ-ক্ষোভ কিছুই থকত না, বরং থকত সমবেদনা। তো কুদ্দুস ভাই এর এক গার্লফ্রেন্ড এবং কুদ্দুস ভাইকে নিয়েই মূল ঘটনা। কুদ্দুস ভাই ছিল "roof dating"এ অস্তাদ। সে সবসময়ই তার গার্লফ্রেন্ডদের তার বাসার ছাদে i...

এলোমেলো চিন্তাঃ ১ম পর্ব

আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে, সব সময় জীবনের হিসাব কষি। হিসাব কষে কষে সবসময় একই ফল বের হয় আর সেটা হচ্ছে, আমি ঠকে গেছি। হয়তোবা আমার হিসাবেই ভুল থাকে, নয়তো সব হিসাবের ফল একই রকম কিভাবে হয়??? কালকে ইন্টারনেটে পরলাম, যারা জীবনে বেশি হিসাব কষে তারা বেশি সুখী হতে পারে না। কথাটা ভুল না। কিন্তু, আমি তো আসলেই ঠকে যাচ্ছি, হিসাব কষি আর নাইবা কষি।  আজকে একটা মুভি দেখলাম, "Easy A", আগেও দেখেছি অবশ্য। তেমন একটা ভালো গল্প না, কিন্তু আমার কাছে খারাপ লাগে না, বরং মজাই লাগে। মুভিটাতে একটা মেয়ে বোকামী করে নিজের জীবনে কয়েকটা গিট্টু লাগায়, পরে অন্তীম মুহুর্তে নায়কের আবীর্ভাব হয়, সব গিট্টু খুলে যায়। সত্যিকার জীবনে সাধারণত কোনো নায়ক আসে না(যতই গিট্টু লাগুক না কেন), নিজেকেই নায়ক হয়ে নিজের গিট্টু খুলতে হয়। । তারপরেও মানুষ সেই নায়কের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। অনেকে বুঝতে পারে যে, আসলে কোন নায়কই আসবে না। আবার অনেকে বুঝে উঠতে পারে না, তাদের গিট আর কখনোই খুলেনা। অনেকে গিট খুলতে চেষ্টা করেও খুলতে পারে না, আবার কারো কারো গিট একাই খুলে যায় রহস্যজনক ভাবে। আমি এখন সেই রহস্যের অপেক্ষায় আছি...

বই পড়াঃ ১ম পর্ব

Image
হুমায়ুন আহমেদ স্যারের "পেন্সিলে আঁকা পরী" বইটা শেষ করেই ধরলাম "সায়েন্স ফিকশন সমগ্র"। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সায়েন্স ফিকশনের যারা (সেই রকম) ভক্ত (আমার মতন), তাদের হুমায়ুন আহমেদ স্যারের সায়েন্স ফিকশন অতটা আকর্ষণীয় না ও লাগতে পারে, কিন্তু "অঁহক" আর "নী" এর মতন উপন্যাস অতুলনীয়। আর, "দ্বিতীয় মানব"? নিঃশ্বাস ফেলার জন্যও সময় পাই নাই বইটা পড়ার সময়। অবশ্য, হুমায়ুন আহমেদ স্যারের এমন কোন বই নাই যেটা একবারে শেষ করি নাই। "পেন্সিলে আঁকা পরী" বইটা উপমার। উপমার বাসায় পাস্তা খাওয়ার দাওয়াত দিল, পরের দিন IELTS পরীক্ষা, কিন্তু পাস্তা বলে কথা! ঝড়ের বেগে ছুটলাম। ওর বিছানার উপর দেখি বইটা খুলে উপর করে রাখা, বুঝলাম ও পড়ছিল। কিন্তু লোভ সামলানো বড় দায়, প্রথম পৃষ্ঠা পড়েই একটা অন্য রকম গন্ধ পেলাম। ওকে আর পড়তে দেই নাই, নিয়ে আসলাম। ও অবশ্য বলেছিল যে, বইটা অনে কষ্টের। আমার কাছে অত কষ্ট লাগলো না, ঠিক-ঠাক। "দ্বিতীয় মানব" বইটা যখন প্রথম বের হয়েছিল, তখনই পড়েছিলাম। কত আগে, মনে নাই। কিন্তু বইটার মধ্যে কি যেন একটা ছিল, অদ্ভুত কিছু, যেই জিনি...